পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য সমূহ

প্রকৃতিতে অনেক আশ্চর্যজনক বিষয়ে রয়েছে। মনুষ্য সৃষ্ট সপ্তাচর্যের পরও অনেক প্রাকৃতিক বিস্ময় রয়েছে এই পৃথিবীতে।
পৃথিবীর এই আশ্চর্যগুলো নির্বাচিত হয়েছে প্রকৃতি থেকে, মানুষের মতামত ও ভোটের ভিত্তিতে। এখানে প্রকৃতির সপ্তাশ্চার্যগুলো চিনে নিন।

১. মাউন্ট এভারেস্ট: এভারেস্টে যারা গিয়েছেন তারা বিষয়টি বুঝতে পারবেন। সেখানে গেলে বোঝা যাবে পর্বত কতটা বিশাল হতে পারে। এতে চড়ার অভিজ্ঞতা কখনো ভাষায় প্রকাশ করতে পারবেন না। এটা প্রকৃতির আশ্চর্য ছাড়া আর কিছুই নয়।

২. গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ: গোটা অস্ট্রেলিয়া চষে বেড়ালেও অভিযান পরিপূর্ণতা পাবে না, যদি গ্রেট ব্যারিয়ার রিফে না যান। আপনি ভালো ডাইভার না হলেও সমস্যা নেই। এর বিস্ময়কর সৌন্দর্য আপনাকে স্রেফ বোকা বানিয়ে দেবে। এখানকার জলজ জীবন রূপকথার রাজ্যের মতো। এটা নিঃসন্দেহে প্রকৃতির কয়েকটি বিস্ময়ের মধ্যে একটি। পৃথিবীর অসংখ্য রোমাঞ্চকর অভিযাত্রীদের ভ্রমণের লক্ষ্য হয়ে উঠেছে এই স্থানটি।

৩. ভিক্টোরিয়া ফলস ন্যাশনাল পার্ক: ভিক্টোরিয়া ফলস প্রকৃতির আরেক বিস্ময়। জাম্বিয়ান বা জিম্বাবুইয়ান যেদিক থেকেই দেখেন না কেন, আপনি বিস্মিত না হয়ে পারবেন না। এখানে একবার গেলে মনে হবে, এতদিন কেন আসা হয়নি? এখানে পানির লেভেল কমে এলে আরো ভালোমতো পর্যবেক্ষণ করা যায় এবং ক্যাম্প করে থাকা যায়।

৪. ট্রোমসো: নরওয়ের উত্তরের একটি শহর ট্রোমসো। এই শহরে রাত বিরাজ করে নভেম্বরের ২১ তারিখ জানুয়ারির ২১ তারিখ পর্যন্ত। অন্ধকার থাকলেও তা পরিপূর্ণ থাকে উৎসব ও সাংস্কৃতির অনুষ্ঠানে। এখানকার রাত প্রকৃতির এক বিস্ময়। আলোকসজ্জা একে কল্পনার রাজ্যে পরিণত করে। যখন সূর্য ফিরে আসে তখন ক্রস-কান্ট্রি স্কিয়িং এবং স্নো বোর্ডিং শুরু হয়।

৫. হোপি পয়েন্ট, গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন: এখানকার কত ছবি আপনি দেখেছেন তা কোনো বিষয় নয়। যদি সূর্যাস্তের ছবি বা দৃশ্য নিজ চোখে না দেখেন, প্রকৃতির একটি বিস্ময় দেখলেন না। সেখানে গেলে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সঙ্গে একটি কম্বল থাকলে ভালো হয়। অনেক মানুষ ভীড় করে। যখন পর্যটকের সংখ্যা কমে আসবে এবং আপনি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭ হাজার ফুট ওপরে অবস্থান করবেন, তখনকার অনুভূতি আপনার জীবনে স্থায়ী আসন পাবে। বিস্তৃত মালভূমিতে যখন দিন শেষ হতে থাকে তখন এক অবর্ণনীয় দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।

৬. হারবার অব রিও ডি জেনিরো: পানির পরিমাণ অনুযায়ী গুয়ানাবারা বে পৃথিবীর বৃহত্তম সাগর। এই সাগরের  আকৃতি এবং এর চারদিকের গ্রানাইটের পাহাড় সৃষ্টি হয়েছিল আটলান্টিক মহাসাগর চ্যুতির কারণে। এটা প্রকৃতির এক বিস্ময়কর আচরণের ফসল। এখানকার পোতাশ্রয়ের চেহারা আপনাকে বিস্ময়ে হতবুদ্ধি করে দেবে।

৭. পারিকুটিন: আগ্নেয়গিরির গঠন দেখার সুযোগ কয় জনেরই বা হয়? আধুনিক সময়ে প্রায় সব আগ্নেয়গিরিই সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু ম্যাক্সিকান স্টেট অব মিচোয়াকানের আগ্নেয়গিরির সৃষ্ট হয়েছে ১০০ বছর আগে। ১৯৪৩ সালে এক কৃষকের বাড়ির পেছনে এটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ৯ বছর ধরে সক্রিয় থাকে। এটা থেকে সৃষ্টি হয় ৬৮২ ফুট উচ্চতার আগ্নেয়গিরি। এটাকে প্রকৃতির সপ্তশ্চার্যের একটি বলে গণ্য করা হয়।


  • সূত্র: ইন্টারনেট

No comments

Powered by Blogger.