বুয়া মানে ফুপু, বাবার বোন

আমরা ডাকি খালা বলে

ব্যাচেলর লাইফে বুয়ার ভূমিকা অক্সিজেন এর মত

যতক্ষন আছে তাকে নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই, না থাকলেই হাসফাস.!

তবে নিজের উপস্থিতি স্বগৈরবে জানান দিতে খালাম্মা সপ্তাহে দু-এক দিন স্বঘোষিত ছুটি নিয়ে নেন

তখনি জীবনজুরে নেমে আসে এক ঘোর অমাবস্যা রাতের মত দিশেহারা অবস্থা

রান্না নাই, এদিকে খাইতে তো হবে

বীরের বেশে, রণসাজে সজ্জিত হয়ে চলে গেলাম রান্নাঘরে আজ রান্না করেই ছাড়ব

আইটেম : খিচুড়ি, ডিমভাজি

দুই একবার বাড়িতে আম্মুকে রান্না করতে দেখেছি

সেই অভিজ্ঞতা নিয়েই মাঠে নামা

খানিকক্ষণ চিন্তা করলাম খিচুড়ি রান্নার রেসিপি নিয়ে

ফলাফল যা দাড়ালঃ-

 চালের মাঝে ডাল দিতে হয়, খিচুড়িরর স্বাদ যেহেতু ঝাল সেহেতু মরিচ দিতে হয়, আর স্বাদের জন্য লবণ।

ব্যাস, কাজ হয়ে গেল সব একসাথে মশিয়ে ঢেকে দিয়ে দিলাম চুলায় চড়িয়ে

সবকিছু ভালই চলছিল, কিন্তু বিপত্তি ঘটল রান্নার প্রায় শেষ দিকে ঢাকনা খুলে

খিচুড়ির রঙ তো হলুদ হয়, কিন্তু আমার খিচুড়ি কেন সাদা.!

চুলা বন্ধ করে আবার ভাবলাম মিনিট দুয়েকের মত, বুদ্ধির বাতি জ্বলতে সময় লাগল না হলুদ করতে হলে ভেতরে দিতে হবে হলুদ

ওদিকে পেয়াজ দেউয়ার কথাও মনে ছিল না

দোয়া-কালমা যা জানাছিল পাঠ করে দিলাম হলুদ আর পেয়াজ একসাথে

তেজপাতা যে দিতে হয় সেটা শুনলাম খাউয়ার পর এক বন্ধুর কাছে, যদিও সেও আমার মতই রাঁধুনি তাও নতুন কিছু একটা তো যোগ হল

আর কি কিছু দিতে হয়? যদি কেউ ভাল রান্না জানেন বলবেন নেক্সট বার Apply করব

যাই হোক শেষমেশ রান্না বেশ ভালই হয়েছে, ডিম আর ঘি দিয়ে বেশ জমিয়েই পেটপূজো সম্পুর্ন হল :)

No comments

Powered by Blogger.