চুলকানি আওলা পাবলিক দের জন্য কিছু কথা...

কল্যানপুরের অভিযানের পর কিছু মানুষের চুলকানি এত বেশী উথলে উঠেছিল যে পুরো ব্যাপারটাই হাস্যকর সব প্রশ্নে বিদ্ধ ছিল।

 প্রশ্নগুলোকে বিশাল বিশাল সব ট্রোলও বলা চলে!

- কেন পুলিশ মরে নাই?
-পাঞ্জাবী আর কেডস পড়া ছিল কেন?
-কেন তারা ফাইট করে নাই? 
-আইএস এর পতাকা কোথা থেকে আসল? ইত্যাদি ইত্যাদি। 

যারা এসব প্রশ্ন করে নিজেদের হঠাত গজিয়ে উঠা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন তাদের গালে ঠাস করে একটা চড় মেরেছে বাংলাদেশ পুলিশ। 

আজকে রিলিজ করল অভিযানের আগে জঙ্গিদের ফটোসেশন। হালেস সেনসেশন মডেলিংএ দেখি জঙ্গীরাও কম যায় না। তাদের ল্যাপ্টপ বা মোবাইল ফোন থেকে বের করে এসব ছবি অভিযানের আগেরই – অর্থাৎ তাদের মরার আগের। 

এখন যারা প্রশ্ন করেছিলেন অভিযান নিয়ে, তারা কোথায়? তাদের মুখে কথা নাই কেন? নাকি আছে?

বাই দ্যা ওয়ে, এখন আবার কেউ বলবে না তো এসব ছবি কোথা থেকে এসেছে? বা ফটোশপ করা ছবি! ফেসবুক গোয়েন্দারা কই? দেখি না কেন তাদের? বলতেও পারে। 

আসলে আমরা সত্যকে মেনে নিতে পারি না। নিজেরা মনে হয় একটা ঘোরের মধ্যে থাকি। বুঝলাম জঙ্গীরা না হয় ব্রেইনওয়াশড কিন্তু আমাদের কি সমস্যা? ব্রেইন তো আমাদেরও ওয়াশ করা না হলে আমরা এমন করতে পারি কি ভাবে? 

ব্রেইন ওয়াশ এর কবল থেকে আগে আমাদের নিজেদেরই বের হয়ে আসতে হবে। ফ্রিডম অব স্পিচ ব্যাপারটা ভাল, কিন্তু আজকাল মনে হয়, হ্যতো এগুলো আমাদের জন্য না। কারন আমরা ইউজের চাইতে এবিউজই বেশী করি। একটা ভাল ব্যাপার কিভাবে ইউটিলাইজ করতে হয় তা যদি না জানি, তাহলে ব্যাপারটা উল্টো হয়ে যেতে পারে।

যাই হোক আমি নিশ্চিত, এই পোস্টের কমেন্টেও উদ্ভট সব প্রশ্ন আসবে আর উদ্ভট সব লজিক আসবে, কেউ আমাকে গালি দিবে, কেউ দালাল বলবে, কেউ আরো খারাপ কিছু বলবে। তাদের উদ্দেশ্যে, জি ভাই, আমরা বাংলাদেশের জন্য দালালি করলে। ভাল লাগলে থাকেন, নাহলে প্লিজ ভাই পাকিস্তান চলে যান।

বাংলাট্রিবিউনে দেয়া ছবিগুলো এখানে পোস্ট করলাম।

No comments

Powered by Blogger.